শিক্ষকের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ
।। মো.গোলামুর রহমান।।
যেখানে নৈতিকতা আর ভদ্রতা বেহায়াপনা থেকে মুক্তির আশায় অভিভাবকরা ছাত্র ছাত্রীদের নিরাপদ মনে করে ভর্তি করিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে,শিক্ষকদের বিশ্বাস করে ছাত্রদের শিক্ষকদের সঙ্গ দিতে বলে,আর তখনি দেখা যায় কিছু কিছু শিক্ষক রক্ষক সেজে হিংস্র প্রানীর মত আচরণ করে।
রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার ৩ নং গুলশাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড রাজনগর রাজারবাগী মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর নাবালক দুই শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে একই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক সাবেক পুলিশ সদস্য ফারুক আহমদের বিরুদ্ধে।তিনি বাগান থেকে বাঁশ আনবে বলে শিশু দু’জনকে বাঁশ বাগানে নিয়ে যায়। পরে গাছে পাতানো টং ঘরে বলাৎকার করে বলে অভিযোগ উঠেছে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
একই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও একই মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর অন্য একটি ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠলে এলাকার মানুষজন তা স্থানীয় ভাবে সমাধান করে দেন।
এবিষয়ে শিশুদের পরিবারের একজনের পক্ষে চাচা জালাল এবং অন্যজনের পক্ষে বাবা শহিদ জানায়, একজন শিক্ষক যদি এমন আচরণ করে, তাহলে আমাদের সন্তান কার কাছে নিরাপদে থাকবে। আমাদের সন্তানদের মিথ্যা কথা বলে জঙ্গলে নিয়ে এসব করে। আমরা মামলা করেছি। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয়, মাদ্রাসা প্রধান মাওলানা হাফিজের সাথে। তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার আমাদের মাদ্রাসা বন্ধ ছিলো। ফারুক স্যার আমাকে কল দিয়েছিলো, তিনি উপরের বাগান থেকে কিছু বাঁশ আনবে। সেই সুবাধে মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে লোক মুখে শুনি তিনি, সেই ছাত্রদের বলাৎকার করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মাওলা বলেন, শিশুটির পরিবার আমার নিকট আসলে, আমি উভয় পক্ষকে নিয়ে বসি। দুই পক্ষের কথা শুনে আমি তাদের আইনের আশ্রয় নিতে বলি।
গুলাশাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে আমার কাছে খবর আসলে, আমি বিষয়টি জানার চেষ্টা করি এবং পরবর্তীতে তাদের কথা শুনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করি।
গুলশাখালী পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ওলি উল্লাহ বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে অভিযুক্ত ফারুক আহমদকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য ফাঁড়িতে নিয়ে আসি। পরবর্তীতে আজ তাকে আমাদের থানায় হস্তান্তর করি।
লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারুনুর রশিদ বলেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযোগ আমলে নিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।