তীব্র গরমে দুর্ভোগে কৃষক ও শ্রমজীবীরা

0 ৪০

তীব্র গরমে দুর্ভোগে কৃষক ও শ্রমজীবীরা

।। বিপ্লব ইসলাম।।

বৈশাখের শুরুর দিন থেকেই রাংগামাটি জেলা সহ লংগদুতে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। সকাল থেকে সূর্য যেন চোখ রাঙিয়ে আগুন ছড়াচ্ছে চারদিকে।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের তাপ। তাপমাত্রা বাড়ায় ভোগান্তি বেড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের সহ বোরো চাষিদের ।

বিশেষ করে বোরো চাষি ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষদের কষ্ট বেড়েছে অনেক বেশি।

তীব্র গরমে ছন্দপতন ঘটেছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়। জীবিকার তাগিদে প্রতিকূল পরিবেশ উপেক্ষা করেও তারা ঘর থেকে বাইরে বেরোচ্ছেন যাচ্ছেন বোরোর মাঠে । কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘসময় কাজ করতে না পারায় ভাটা পড়েছে তাদের আয়ে এবং কাজে।

রবিবার উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, সূর্যের প্রচন্ড তাপে নাজেহাল অবস্থায় কৃষক, পথচারী সহ দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষেরা বাইরে আছেন। রোদ থেকে বাঁচতে মাথায় গামছা ও কেউবা আবার মাথায় মাথাল ব্যবহার করছেন। আবার গরমে হাঁপিয়ে ওঠা অনেকে ক্লান্তি দূর করতে ফসলি জমির পাশে ভ্রাম্যমাণ ছাউনি ঘেরা ঘরেই করছে হাসফাস জমিতে রাখা মৃদু গরম পানি দিয়ে তৈরী করা শরবত পান করে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন।

উপজেলার কাওয়ামারা বিলের কৃষক রায়হান আলী বলেন, সকাল ১১টার পর থেকে রোদের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এ সময় জমিতে বসে থাকাই খুব কষ্ট হয় আমাদের। অন্যদিকে, আগের মত কাজ ও করা যায় না।

আবার বেশি সময় ধরে জমিতে বসে কাজও করা যায় না। অল্পতেই পানি পিপাসা পায়। এত কষ্টের মধ্যেও আমাদের জীবন বাঁচানোর তাগিদে কাজে বের হতে হয়। শুধু মানষই নয় কষ্ট পাচ্ছে প্রাণিকুলও।

উপজেলার কালাপাকুজ্যা গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, কাঠ ফাটা রোদ মাথায় নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে কৃষকদের। খুব বেশি সময় মাঠে থাকা যায় না। অন্যদিকে শুকিয়ে যাচ্ছে লংগদু উপজেলার নদ-নদীর পানি। ফলে চাষাবাদে ব্যবহারের জন্য পানি পেতে কষ্ট পেতে হচ্ছেবলে চাষিদের। সব মিলিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে রাংগামাটি জেলার লংগদু উপজেলার জনজীবন।

ফসলি জমির ঝুপড়ি ঘরে বসে থাকা রাবেয়া বেগম বলেন,আগে এরকম গরম দেখিনি। পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হয়েছি। একটু কাজ করার পরপরই বিশ্রাম নিতে হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, চলমান তাপপ্রবাহ আরও কিছুদিন পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

আপনার ইমেইল প্রদর্শন করা হবে না।