লংগদুতে বন্যহাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ পরিবারের মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ

৮৪

লংগদুতে বন্যহাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ পরিবারের মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ

।। গোলামুর রহমান/ও.এফ মুছা ।।

রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার গুলশাখালী, বগাচতর, ভাসান্যাদম তিনটি ইউনিয়নে প্রতিনিয়ত বন্য হাতির দ্বারা অত্যাচারের ভুক্তভোগী জনসাধারণ। মানুষ ও বন্য হাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে চেক বিতরণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করে রাঙামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগ।

মঙ্গল বার (২২ মার্চ) ভাসান্যাদম ইউপি কার্যালয়ের মাঠে উক্ত ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় কচালং বনবিভাগের কর্মকর্তা সজীব মজুমদার এর সঞ্চালনায় ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অজিত কুমার রুদ্র এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান। বক্তব্যে তিনি বলেন, এই পৃথিবী সবার । এখানে বসবাস করার সকলের অধিকার। সকল প্রাণিই নিজ নিজ অবস্থান থেকে খাদ্য অন্বেষণ করে। এখানে সবাই একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি বলেন পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে প্রকৃতিকে বাঁচাতে হবে। প্রাণিকুল রক্ষা না ফেলে আমরাও বাচবো না। তিনি বলেন,এই উপজেলার বিশেষ করে ভাসাইন্যদম, গুলশাখালী, বগাচতর ইউনিয়নের বাসিন্দারা খুবই ভালো। বন্যহাতি আপনাদের অনেক ক্ষতি করেছে কিন্তু আপনারা হাতির কোন ক্ষতি করেননি। এটা সত্যিই প্রসংশনিয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অশ্রেণীভুক্ত বণাঞ্চল বনীকরণ বিভাগ রাঙ্গামাটির বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ.ন.ম আব্দুল ওয়াদুদ, লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাইনুল আবেদীন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ঝন্টু, লংগদু থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ আরিফুল আমিন। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাসাইন্যাদম ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী ও ক্ষতিগ্রস্থ ইউসুফ আলী। এসময় ইউপি সদস্য ও জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান আরো বলেন, শুধু মানুষের জন্য পৃথিবী নয়। সৃষ্টি কর্তা যত কিছু সৃষ্টি করেছে সকল কিছুর জন্যই এ পৃথিবী। হাতির কোন মানুষের মত জ্ঞান নাই। তাই আমরা যেহেতু মানুষ আমাদের উচিত হাতির খাদ্যর জন্য বণাঞ্চল নির্মূল না করা। এদের জন্য বনাঞ্চল উন্মুক্ত করে দিলে লোকালয় এসে হাতি আক্রমণ করবেনা। শেরপুর ও টেকনাফের মত ঘটনা এখানে ঘটেনি। আপনারা অত্যান্ত সহনশীল আপনাদের স্যালুট জানাই। তিনি বলেন হাতি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। তাই আমাদের সকলের মনমানসিকতা পরিবর্তণ করতে হবে। প্রকৃতিকে ধংস নয় একে রক্ষা করতে হবে তা না হলে প্রকৃতি বিরুপ আচরণ করবে। তিনি আরো বলেন আপনাদের সন্তানদের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলুন। তাহলে আমাদের মত একজন ডিসি,এসপি, ইউএনও পাবেন।

শেষে বন্য হাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ পরিবারের মাঝে ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকার ব্যাংকের চেক প্রদান করা হয়।

মন্তব্য বন্ধ আছে তবে ট্র্যাকব্যাক ও পিংব্যাক চালু রয়েছে।