ঝুঁকিপূর্ণ গাউচপুর সেঁতুতে যান চলাচল
।। আলোকিত লংগদু ডেক্স।।
রাঙামাটির লংগদুতে ঝুঁকিপূর্ণ সেঁতুতেই চলছে এলাকাবাসীর যাতায়ত ও যান চলাচল। উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের গাউচপুর ফরেস্ট অফিস এলাকায় নদীর উপর নির্মিত সেতুটি। পাহাড়ী ঢলের প্রবল স্রোতে সেতুটির মাঝখানের একটি পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে নড়বড়ে হয়ে গেছে এবং আরেকটি পিলার ও রেলিং ভেঙ্গে গেছে অনেক আগে। যার ফলে সেতুটি বর্তমানে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। উপজেলার পূর্ব পাড়ের বগাচতর, গুলশাখালী ও ভাসাইন্যাদম এই তিনটি ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক জনসাধারণ মোটরসাইকেল যোগে ও পায়ে হেটে যাতায়ত করেন সেতুটি দিয়ে। সেতুটি নড়বড়ে এবং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্খা করছেন এলাকাবাসী।
এবিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক লেখালেখি হলে তখন উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে গতবছর ২১জুলাই লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাইনুল আবেদীন সরেজমিনে সেতুটি পরিদর্শণ করেন। পরিদর্শন কালে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ যোবায়ের হোসেন, উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী চিদ্দিকুর রহমান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। শেষে সকলের সম্মতিক্রমে চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত এই সেতুর উপর দিয়ে শুধুমাত্র পায়ে হেটে পারাপার হওয়া যাবে, তবে কোনো যানবাহন চলা যাবে না। অত্যন্ত দ্রুততার সাথে বিকল্প (কাঠের) সেতু তৈরির ব্যবস্থা করা হবে। তখন সেতুটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে বলে প্রশাসনিকভাবে সিদ্ধ্যান্ত নেওয়া হয়। ইউএনও আরো বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন ব্রিজ নির্মাণ সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত সেতু দিয়ে যেন সাবধানের পারাপার হয় তার জন্য তিনি এলাকাবাসীর প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, গাউচপুর ফরেস্টটিলা সেতুটি খুবই ঝুকিপূর্ণ এতে যান চলাচলের উপর প্রশাসনিকভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় তাৎক্ষনিকভাবে বিকল্প কাঠের সেতু নির্মাণ এবং পরবর্তীতে নতুন পাকা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেওয়ার একবছর পার হলেও কোনটাই বাস্তবায়ন হয়নি। আগের মতই ঝুকিতে শতশত মোটরসাইকেল দিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। স্থানীয়রা আরো জানায়, আমরা দীর্ঘদিন ধরে গাউসপুর সেতুটি সংস্কার করার জন্য জনপ্রতিনিধি সহ প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়ে আসছি। গুলশাখালী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও সংবাদদিক সৈয়দ ইবনে রহমত জানান, সেদিন হয়তো বেশি দূরে নয়, যেদিন এ ব্রিজটি ভেঙে পড়বে। কিছু মানুষ হয়তো হতাহতও হবে। যতো দ্রুত সম্ভব ব্রিজটা পুনঃর্র্নিমাণ করে দেওয়ার দাবী জানান তিনি। বগাচত্তর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা আর কতো বলবো প্রশাসনকে? আমাদের দাবিতো পূরণ হচ্ছে না। লংগদু উপজেলা প্রকৌশলী ড. জিয়াউল ইসলাম মজুমদার বলেন, গাউচপুর নতুন সেতুর জন্য একনেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশাকরি মঞ্জুর হয়ে যাবে।
মন্তব্য বন্ধ আছে তবে ট্র্যাকব্যাক ও পিংব্যাক চালু রয়েছে।