আমতলীর সাবেক চেয়ারম্যানের ১০ বছরের সাজা

0 ১৫৪

ডেস্ক রিপোর্টঃ

জাল স্ট্যাম্প বিক্রির অপরাধে দায়েরকৃত মামলায় রাঙামাটির বহুল আলোচিত আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের (সাবেক) চেয়ারম্যান ও বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক পদ থেকে বহিস্কৃত রাসেল চৌধুরীকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ (প্রথম) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ কামাল হোসেন সিকদার আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করে। রায় ঘোষণার পরপরই কাঠগড়ায় থাকা আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে নিয়ে যায়।
এমামলা পরিচালনাকারী অতিরিক্ত মহানগর পিপি এডভোকেট কানু রাম শর্মা রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে পূর্বদেশকে জানিয়েছেন, জাল স্ট্যাম্প বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়ার সময় রাসেল ও বেলালকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় বিগত ২০০৬ সালের নভেম্বরে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিলো। দীর্ঘ সময় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামীরা অপরাধী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় প্রদান করে।
অতিরিক্ত পিপি বলেন, রায়ে ১০ বছরের সাজার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদÐের আদেশও দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার রায় ঘোষণার সময় আসামি রাসেল চৌধুরী ও অপর আসামি বেলাল হোসেন সৈকত আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০০৬ সালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন সিইপিজেড মোড়স্থ আবাসিক হোটেল অরিয়ন থেকে ৫৬ হাজার ৮০০ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্পসহ রাঙামাটির রাসেল চৌধুরী ও তার সহযোগী বরগুনা জেলার তালতলী থানাধীন সখিনা গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হোসেন সৈকতকে আটক করেছিলো র‌্যাব।
এই ঘটনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(ক)(খ) ধারায় বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নাম্বার -২০(১১) ২০০৬ইং। জি আর নং-৪৮৩/২০০৬। দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর আড়াই মাস পর এই মামলার রায়ে আসামি রাসেল চৌধুরী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করে।
এমামলায় মোট চার আসামির মধ্যে শুরু থেকেই দুই আসামি পলাতক রয়েছে। রায় ঘোষণার সময় মূল আসামি রাসেল ও ২নং আসামি বেলাল হোসেন সৈকত আদালতে উপস্থিত ছিল। রায়ের পরপরই আসামিদের জেল হাজতে নিয়ে যায় চট্টগ্রামের পুলিশ।

আপনার ইমেইল প্রদর্শন করা হবে না।