হাটহাজারী মাদরাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ)
হাটহাজারী আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসা প্রাঙ্গণে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন দেশের কওমি অঙ্গনের শীর্ষ আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
এর আগে শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজাকে কেন্দ্র করে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম মাদরাসা সংলগ্ন হাটহাজারী এলাকা।
এতে ইমামতি করেন আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বড় ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ। স্মরণকালের সবচেয়ে বড় এই জানাজায় আলেম, রাজনীতিক, সরকারি কর্মকর্তাসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশ নেন।
জানাজা শেষে হাটহাজারী আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার ভেতরের বায়তুল আতিক জামে মসজিদ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ সময় শতবর্ষী আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সহকর্মী, ছাত্র, ভক্ত ও অনুসারীসহ জানাজায় আসা ধর্মপ্রাণ মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানাজায় স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মশিউর রহমান, চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার রাশেদুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বদিউল আলম অংশ নেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা ও আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। রাত ১১টার দিকে গেন্ডারিয়ার আসগর আলী হাসপাতাল থেকে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মাদরাসা জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদে আল্লামা শফীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।
দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্টে ভোগার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত কারণে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছিল।