শান্তিবাহিনীর হাতে এই দিনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ রশিদ সরকার।

১৬৯

ডেস্ক রিপোর্টঃ

শান্তিবাহিনীর হাতে এই দিনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ রশিদ সরকার।

৪ মে, ১৯৮৯। ৩৪ বছর আগে এই দিনে রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু হয়ে ওঠে উত্তপ্ত। সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন শান্তিবাহিনী লংগদু উপজেলাই বসবাসরত নিরীহ এবং নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর নির্মম হত্যাকান্ড চালিয়ে তাদের বিভৎস মানসিকতার এক জঘন্যতম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। ৩৮ হাজার বাঙালি হত্যাকারী, খুনি সন্তু লারমার আদেশে পাহাড়ে এই গণহত্যা পরিচালনা করে জেএসএস এর সামরিক শাখা শান্তিবাহিনী ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত বাঙালির সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি। কিন্তু পাহাড়ে সংগঠিত গণহত্যা সমূহের আজও কোনো বিচার মেলেনি। উপজাতি সন্ত্রাসীদের এসব নৃশংসতা প্রচার হয়নি বলে দুনিয়াব্যাপী এক তরফা ধারণা জন্মেছে যে, পার্বত্য উপজাতিরা সত্যিই নির্যাতনের শিকার কিন্তু বাস্তব ঘটনা সম্পূর্ণ বিপরীত। পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, বাঙালিরা সর্বদা নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

স্বাধীনতার পর পরই জেএসএস তথা শান্তিবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু করে। এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পার্বত্যাঞ্চলের সহজ-সরল পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোকে স্বাধীন জুম্মল্যান্ড প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখিয়ে শুরু করে সশস্ত্র তৎপরতা। প্রথম থেকেই তারা নিরাপত্তাবাহিনী এবং নিরীহ বাঙালিদের বিরুদ্ধে চালাতে থাকে একের পর এক আক্রমণ। যে কোন নিরীহ এবং নিরস্ত্র মানুষের উপর সশস্ত্র আক্রমণ করাই যেখানে মানবতাবিরোধী চরম অপরাধ সেখানে শান্তিবাহিনীর সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরস্ত্র-নিরীহ বাঙালিদের উপর হাজার বার সশস্ত্র আক্রমণ পরিচালনা করেছে। শান্তিবাহিনী এ পর্যন্ত হত্যা করেছে ৩০ হাজারেরও বেশি বাঙালি আবাল, বৃদ্ধ, বনিতাকে। এর মধ্যে লংগদু গণহত্যা ইতিহাসের পাতায় আজও চিরস্বরণীয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে যারা ওয়াকিবহাল আছেন, তারা লংগদু গণহত্যাকে শান্তিবাহিনীর নৃশংসতম গণহত্যা বলে স্বীকার করেন। কালের বিবর্তনে অনেক কিছু হারিয়ে যায় কিন্তু সত্য কখনোই হারিয়ে যায় না। মিথ্যা সাময়িকভাবে জয়ী হতে পারে, তবে তার স্থায়িত্ব খুব স্বল্প সময়ের জন্য। ঠিক তেমনি “লংগদু গণহত্যা” একটি কলঙ্কিত ইতিহাস যা পার্বত্য চট্টগ্রামের পাতায় সারাজীবন স্বরণীয় হয়ে থাকবে।

মন্তব্য বন্ধ আছে তবে ট্র্যাকব্যাক ও পিংব্যাক চালু রয়েছে।