লংগদুতে ‘লিন’ প্রকল্পের বাৎসরিক নিউট্রিশন কর্মসূচী মূল্যায়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত
।। ওমর ফারুক মুছা ।।
……………………………………………………
রাঙামাটির লংগদুতে লিডারশিপ টু এনশিউর এডিকুয়েট নিউট্রিশন (লিন) প্রকল্প ও জুম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাৎসরিক নিউট্রিশন কর্মসূচী মূল্যায়ন বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়য়েছে।
বুধবার(১২ আগষ্ট), লংগদু উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সামাজিক নিরপত্তা বজায় রেখে আয়োজিত এই কর্মশালায় লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাইনুল আবেদীন এর সভাপতিত্বে ও লিন প্রকল্পের লংগদু উপজেলা শাখার কো-অডিনেটর অমূল্য ধন চাকমার পরিচালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ অরবিন্দ চাকমা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শুভাশিষ কর্মকার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: জাহিদুল ইসলাম।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমশিনার (ভূমি) ক্যাথোয়াই প্রু মারমা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ারা, লংগদু থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোহাম্মদ নুর। এছড়াও বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সুফলভোগী কৃষক ও উদ্যোগীগন, লিন প্রকল্পের ফিল্ড ফ্যাসিলেটেটর নিউ চাকমা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালার মাধ্যমে লিন প্রকল্পের বিষয়ে অর্জন, ওভারভিউ, উপস্থাপনা এবং বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে সম্পৃক্ততা উন্নয়ন এটিই মুল উদ্দেশ্য বলে কর্মশালা আয়োজনকারীরা জানায়।
কর্মশালার সভাপতি ও লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাইনুল আবেদীন বক্তব্যে বলেন, এই পার্বত্য জনপদের বাসিন্দাদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারলে উন্নয়নও তরান্বিত হবে। তার জন্য শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে সবার আগে। লিন প্রকল্পে ও জুম ফাউন্ডেশনের যে শিক্ষা কার্যক্রম রয়েছে তা আপনারা দৃড়ভাবে পরিচালনা করুন। এতে যদি একজন করেও শিশু শিক্ষিত হয় তাহলেও অনেক অগ্রগতি হবে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে কতটা কার্যকর তা বলে বুঝানো যাবে না। লংগদু উপজেলা হচ্ছে একটি কৃষি নির্ভর জনপদ। এখানে পরিকল্পিতভাবে এবং আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা গেলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। তার জন্য বেশি করে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। যার যার জায়গা থেকে মানবিক দিক দিয়ে দায়িত্ব পালন করার আহবান জানান তিনি।