মিশ্র ফলজ বাগানে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক

১৯৭

মো.গোলামুর রহমান,

রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে পেঁপে চাষে সফলতার মুখ দেখেছে অনেক কৃষক। একে অপরের সহযোগীতায় বর্তমানে প্রায় শতাধিক পেঁপে চাষী রয়েছে উপজেলায়।

লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউপির মহাজনপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলী, তিনি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তিনি জানান, ব্যবসার পাশাপাশি তিনি শখের বসে প্রায় তিন একর জায়গা জুড়ে মিশ্র ফলের বাগান তৈরী করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে পেঁপে এক হাজার, কাজু বাদাম ২৫০ এবং মালটা১৫০, বর্তমানে পেঁপে বাগনে ফল আসা শুরু করেছে। তিনি আশা করছেন আগামী বছর মালটা ও কাজু বাদামও ফল দিবে।

তবে এমিশ্র বাগানে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও, সমস্যা হলো ফল বাগানে পানি দেওয়া। শুকনো মৌসুমে পুরো এলাকা জুড়ে পানি থাকেনা। কাপ্তাই লেক শুকিয়ে যায়।বর্তমানে প্রায় ৮০০শ ফুট দূর থেকে পানি তুলতে হচ্ছে। তাই তার দাবী কৃষি অফিস থেকে তার জন্য যদি একটি ডিপ টিউবেল দেওয়া হয়,তাহলে তার মিশ্র ফলজ বাগানের জন্য উপকৃত হবে এবং উক্ত বাগানের ফল বাজারজাতকরণ এর মাধ্যমে সাধারন মানুষের চাহিদা পূরণ করা যাবে।

লংগদু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা সরকারী ভাবে কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে সার, বীজ দিয়ে সাহায্য সহযোগীতা করে যাচ্ছি। আমরা আজকেও সরেজমিনে তার মিশ্র বাগানটিতে আসছি। আমরা তার প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো বিবেচনায় রাখবো।

রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক তফন কুমার পাল বলেন, আমরা রাঙ্গামাটি থেকে এসে লংগদু উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে বাগান গুলো পরিদর্শন করেছি, ভালোমন্দ দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছি। এখন আমরা মোহাম্মদ আলীর বাগানে আসছি তার মিশ্র ফলজ বাগানটি সরজমিনে দেখে গেলাম। এখানে তার বাগানটি খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তুলেছে, তবে তার এখানে পানি নিষ্কাশনের সমস্যাটা বেশী। আমরা এসব বিষয় গুলো বিবেচনায় রাখবো।

মন্তব্য বন্ধ আছে তবে ট্র্যাকব্যাক ও পিংব্যাক চালু রয়েছে।