লংগদুতে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন

৮১

আলোকিত লংগদু ডেস্কঃ

রাঙামাটির লংগদু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার কর্তৃক মাইনীমূখ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বেল্লাল হোসেন’কে মারধর এবং মানহানিকর মন্তব্য করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের দলীয় কার্যালয়ে এ সম্মেলন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন এ আয়োজন করে।

সম্মেলনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল বারেক সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার অনিয়ম, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মারধর-দুর্ব্যবহার সহ নানা অভিযোগ তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি মানহানিকর মন্তব্য করায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আটারকছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ সেলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সুভাষ চন্দ্র দাশ, সহ সভাপতি আব্দুল আলী, হোসেন আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনাথ চাকমা রকি, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক নির্পন চাকমা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবু তাহের, লংগদু ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, মাইনীমূখ ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম, কালাপাকুজ্জ্যা ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তাহের, ভাসান্যাদম ইউপি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ ইদ্রিস আলী, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী তানিয়া আফরোজ হাওয়া প্রমূখ।

এছাড়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং তৃণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকারকে একজন মিথ্যাবাদী এবং দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করা হয় এবং তার হামলা ও মিথ্যাচার ছড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৭ নভেম্বর দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হোসেন আলী ও মাইনীমূখ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেল্লাল হোসেন উপজেলা বিশ্রামাগারের সামনে ব্যক্তিগত কথা বলার সময় অতর্কিতভাবে পিছন থেকে এসে বেল্লাল হোসেন এর উপর হামলা করেন এবং পায়ের জুতা খুলে জুতা পিটা করেন লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার। এসময় বেল্লাল হোসেনের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে লংগদু সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে আরো বলেন, আব্দুল বারেক সরকার সভাপতির দায়িত্ব থাকাকালীন আওয়ামী পরিবারের অনেক নেতা কর্মীকে নিজ ইচ্ছে মতো বিচার বা আহত করেন। এর আগেও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রবিউল ও সাধারণ সম্পাদক বাবুলকে তার বাহিনী দিয়ে হামলা করেন। নেতৃবৃন্দ আব্দুল বারেক সরকারের স্থায়ী বহিষ্কার করার জন্য জেলা নেতৃবৃন্দের নিকট আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি কৃষি ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছে হামলার পরে তাই তার টাকা নিয়ে যাওয়ার যে অভিযোগ তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা তদন্ত করে দেখতে পারেন। আরেক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, যারা তার পক্ষে মিছিল করেছ তারা আওয়ামী লীগের কেউ না। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা কখনো গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যক্রম করবে না।

মন্তব্য বন্ধ আছে তবে ট্র্যাকব্যাক ও পিংব্যাক চালু রয়েছে।