মামা নতুন করে বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছে সেনাবাহিনী

alokitolangadu@gmail.com

0 ১৫৪

মো.গোলামুর রহমান

মামা জীবনে এতো কষ্ট কখনো করিনি, আমার টাকা পয়সাও ছিলো। দুঢ়ছড়ি বাজারে আমার একটি দোকানও ছিলো বেঁচাকেনায় যথেষ্ট ভালোছিলো। হঠাৎ একদিন বাজারে আগুন লেগে আমার সব শেষ হয়ে যায়। সেই থেকে আর সোজা হয়ে দাড়াতে পারিনি। আজ সেনাবাহিনীর লংগদু আর্মি ক্যাম্পের ( লংগদু জোন) স্যার আমাকে নতুন করে বাঁচতে সহযোগিতা করেছে বলে অঝোরে কাঁদতে শুরু করেন দূঢ়ছড়ি বাজারের আবুল হাসেম।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর)  সকাল ১০ টায় জোনে এসে ১০হাজার টাকা আর্থিক সহযোগীতা পেয়ে হাউমাউ করে কেঁদে কেঁদে এসব কথা বলেন তিনি।

আবুল হাসেম আরো বলেন, পরিবারের দুই মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে, সাথে আমি আর আমার স্ত্রী।  সংসারে বড় ছেলেকে বিয়ে করিয়েছি, কিন্তু তেমন কোন কিছু করতে পারেনা,এখন শশুর বাড়িতেই থাকে। আর ছোট মেয়ে এবং ছেলে তারা ঘরেই থাকে, ছোট ছেলেটা ক্লাস নাইনে পড়ে পাশাপাশি মানুষের কাজ কর্ম করে। আমি নিজেও মানুষের কাজ করতাম, কিছুদিন আগে গাড়ি এক্সিডেন্ট করে হাতে আঘাত পাই যার ফলে একেবারেই বেকার হয়ে যাই। তাছড়া এবয়সে মানুষের কাজ করার মত শরীরে শক্তি নাই। এসব বিষয়ে কিছুদিন আগে একজন কে বলি তিনি আমাকে স্যারের কথা বলেছেন, আলহামদুলিল্লাহ আসার সাথে সাথে স্যার আমাকে ফিরিয়ে দেয়নি,স্যার আমাকে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দিয়েছে। আমি যে দিকে তাকাই সব অন্ধকার দেখেছি, ভাবতাম কি ভাবে পরিবারের ছেলে সন্তান নিয়ে বাঁচবো,আল্লাহর রহমতের আশায় থাকতাম, আজ আল্লাহ কবুল করেছেন। এই দশ হাজার টাকা আমার কাছে দশ লাখ টাকার সমান,এ টাকা দিয়ে আমি ছোট্ট একটি দোকান দিবো আর পরিবার নিয়ে সুখে থাকবো ইনশাআল্লাহ। আমি স্যারের জন্য দোয়া করি স্যার আমাকে যে ভাবে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দিয়েছে আল্লাহ স্যারকে যেনো আরো মর্যদা দান করেন।সেনাবাহিনীর সকলকে আল্লাহ যেনো হেফাজত করে রাখে।

জোন অধিনায়ক লে.কর্নেল হিমেল মিয়া পিএসসি’র নির্দেশনায় লংগদু জোনের আর্পি চেকপোস্টে উক্ত আর্থিক অনুদান হাতে তুলেদেন লংগদু জোনের মেজর আশফিকুর রহমান।

লংগদু জোনের জোন অধিনায়ক লে.কর্নেল হিমেল মিয়া পিএসসি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সাধারণ মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে। অসহায় দুঃস্থ পরিবারদের জন্য আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও শান্তি সম্প্রীতি রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।

আপনার ইমেইল প্রদর্শন করা হবে না।