পার্বত্য চুক্তির ২৩ পূর্তিতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ
![](https://alokitolangadu.com/wp-content/uploads/2020/12/parbotto-20180522180409.jpg)
আগামী ২রা ডিসেম্বর/২০২০ খ্রি: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৩ বছর উদযাপন করবে পার্বত্যবাসী। কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে কর্মসূচি গ্রহন করেছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
গত ২৫ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর সভাপতিত্বে পরিষদ সম্মেলন কক্ষে শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি একটি ঐতিহাসিক অর্জন। এ চুক্তির ফলে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তির সুবাতাস বইছে। শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। প্রতি বছর এ জেলা খাগড়াছড়িতে শান্তিচুক্তির বর্ষপূর্তি বর্ণাঢ্যভাবে পালিত হয়ে আসছে। এ বৎসর কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করতে হবে। তিনি পার্বত্য শান্তিুচুক্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে গৃহহীনদের গৃহ প্রদান বিষয়ক একটি কর্মসূচী রাখার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। পরে আলোচনা সভায় উপস্থিত বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের মতামতের ভিত্তিতে ০২ ডিসেম্বর ২০২০খ্রি: দিনব্যাপি কর্মসূচী পালনে নিন্মক্তো সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
সকাল ১০টায় “শান্তিচুক্তি একটি ঐতিহাসিক অর্জন” হিসেবে উপলব্ধি করতঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন এবং চুক্তির ২৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটা।
** সকাল ১০.৩০টায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্টীর সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট, খাগড়াছড়ি হল রুম আলোচনা সভা।
** সকাল ১১ টায় খাগড়াছড়ি পৌরএলাকায় মাস্ক বিতরণ কর্মসূচী।
** ৯ উপজেলায় ৯জন গৃহহীনকে গৃহ উপহার।
** সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয়ে ফানুস ওড়ানো ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত করবে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য- বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি পাহাড়ীদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সম্পাদিত একটি শান্তি চুক্তি। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংহতি সমিতির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার (আওয়ামীলীগ শাসন আমলে) ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ২ ডিসেম্বর এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।এতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং শান্তি বাহিনীর পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমা।