সেনাবাহিনীর তৈরী করা রাস্তায় কপাল খুলেছে কৃষকদের

৩৬২

মো.গোলামুর রহমান,

রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার গাঁথাছড়া ১৪ নাম্বার বিলে ৯কিলো রাস্তা তৈরী করে দিয়ে বাঘাইছড়ি,মাহিল্যার সাথে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লংগদু জোন।

মাইনী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড থেকে শুরু করে মাহিল্যা বাজার পর্যন্ত মাটি কেটে রাস্তা তৈরী করেছে লংগদু জোন, এতে করে সব চেয়ে বেশী লাভবান হয়েছে ১৪ নাম্বার বিলের চাষাবাদ করা প্রায় ৮ শতাধিক কৃষক।

১৪ নাম্বার বিলের তরুণ কৃষক নাজমুল হোসেন জানান, প্রতিবছর এসময় আসলে নদীতে পানি থাকেনা, যার ফলে ধান, খড় সহ ফসলাদি বাড়িতে নিতে অনেক কষ্ট হতো,এখন আর কষ্ট হয়না, এখন গাড়ি আমাদের জমিনে চলে আসে, শুধু মালামাল গাড়িতে তুলে দিলে বাড়ি চলে যায়।

কৃষক আনোয়ার বলেন, রাস্তাটি হওয়ায় এবিলে চাষাবাদ করা কৃষকদের কপাল খুলেছে, সমতলের মত এখন গাড়ি জমিনে চলে আসে, মাথায় করে ধান টানতে হয়না, এছাড়াও এরাস্তাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি দ্রুত সময়ে বাঘাছড়ি যেতে পারছে। বেড়েছে আমদানি রপ্তানিও। যদি পানিতে ডুবে না যেতো এটি হতো দ্রুত সময়ে চলাচলের একমাত্র রাস্তা।

বৃদ্ধা কৃষক আবচার উদ্দীন বলেন, আমি বুড়া মানুষ, প্রতিবছর নিজে নিজে কষ্ট করে আমার জমিতে ধান চাষ করি,কিন্তু আনা নেওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হতো,এবছর রাস্তাটি হয়ে আমার কষ্ট করতে হয়নি, আর্মি আমাদের এতো উপকার করছে যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। এখন আমার জমিতে গাড়ি আসে, এখান থেকে ধান গাড়িতে ভরে ঘরের দরজায় নামাইতে পারছি।

মাইনী ইউনিয়নের তরুন চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল বলেন, এই রাস্তাটি হওয়াতে কৃষকদের এখন আর কষ্ট করতর হয়না, প্রত্যেকটি কৃষকের জমিনে গাড়ি গিয়ে ফসলাদি নিয়ে আসছে বাড়িতে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লংগদু জোনের এই আন্তরিকতা সাধারণ মানুষ কখনো ভুলবেনা। এতে করে সেনাবাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের ভালোবাসা আরো দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া বাঘাইছড়ি ও মাহিল্যা,কালাপাকুজ্জা যাওয়ার দ্রুততম একটি রাস্তা এটি।

লংগদু জোনের এই মহত কাজকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয়রা, রাস্তাটি তৈরী করে সাধারণ মানুষের মনে সাড়া জুগিয়েছে সেনাবাহিনী, লংগদু জোনের এমন মহৎকাজ সারাজীবন মনে রাখবে বিলে চাষাবাদ করা হাজারো কৃষক।

মন্তব্য বন্ধ আছে তবে ট্র্যাকব্যাক ও পিংব্যাক চালু রয়েছে।