লংগদুতে নন এমপিও ভূক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক অনুদান বিতরণ

১৩১

ওমর ফারুক মুছা :

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে কোভিড-১৯ করোনা কালীন রাঙামাটির লংগদু উপজেলাধীন নন এমপিও ভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, করোনার প্রভাব মোকাবেলায় সরকার নিরসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশের জনসাধারণ আজ করোনা টিকা নিতে পারছেন। অথচ এই টিকা নিয়ে একটি মহল মিথ্যাচার করেছিল। এখন জনগণ টিকার জন্য লাইন ধরে। সেই সমালোচকরাই বলেছেন সরকার ভালো কাজ করছেন। করোনাকালীন সময়ে সরকার দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। তিনি আরো বলেন, যারা কথায় কথায় সরকারের সমালোচনা করেন তারা কোথাও কিছু দিয়েছে এমন নজীর দেখাতে পারবেনা। তারা শুধু সমালোচনাই করতে জানে। আওয়ামীলীগই এক মাত্র রাজনৈতিক দল যারা শুধু দেশের মানুষের পাশে দাড়ায়।
মঙ্গলবার(১৪সেপ্টেম্বর), লংগদু উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাইনুল আবেদীন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসু প্র“ চৌধুরী।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু। অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য যথাক্রমে আব্দুর রহীম, আছমা আক্তার ও ঝর্ণা খীসা, লংগদু থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোহাম্মদ আরিফুল আমিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ঝান্টু, আওয়ামীলীগ নেতা ওয়াশিংটন চাকমা, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল।
শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ উপজেলার সকল নন এমপিও ভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে নগদ শিক্ষকদের ৫হাজার ও কর্মচারীদের ৩হাজার টাকা করে করোনা কলীন সময়ে আর্থিক সহায়তা বিতরণ করেন। এছাড়ও উপজেলার বারবুনিয়া এলাকয় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ৬ দোকান মালিককে নগদ ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

মন্তব্য বন্ধ আছে তবে ট্র্যাকব্যাক ও পিংব্যাক চালু রয়েছে।