ঐতিহ্যবাহী তিনটিলা বনবিহারে ২২তম দানোৎত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব

0 ২৩৯

।। ও এফ মুছা ।।
সাধু সাধু ধনিতে শেষ হলো রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ঐতিহ্যবাহী তিনটিলা বনবিহারে ২দিন ব্যাপী ২২তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব।
বৃহষ্পতিবার সকালে পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্যদিয়ে চীবর দান অনুষ্ঠান শুরু হয়, এরপর সংঘ দান, বুদ্ধমুর্তি দান, কল্পতরু দান, অষ্ট পরিষ্কার দান এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ডু দান সহ নানাবিধ দান করা হয়।
শুক্রবার সমাপনী অনুষ্ঠানে লংগদু ইউপি সংরক্ষীত নারী সদস্যা চম্পা চাকমার পরিচালনায় চীবর দানানুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, তিনটিলা বনবিহার কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্র সুরথ চাকমা।
শুভ দানোত্তম কঠিন চীবর দানে ধর্মী অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে ধর্মীয় দেশনা দেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ও পূজ্য বনভান্তের শিষ্য সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির।
অন্যান্যদের মধ্যে ধর্মীয় দেশনা দেন রাঙামাটি রজবন বিহারের সদস্য শ্রীমৎ দেবানন্দ, লংগদু তিনটিলা বনবিহাবেরর অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ধর্মালোক স্থবির।
এসময় অতিথি হিসেবে আটারকছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমা ও গন্যমান্য ব্যাক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।ধর্মীয় দেশনায় বক্তারা বলেন, পূণ্য লাভে বনভান্তের শাসন অনুশাসন ও আদর্শকে বুকে ধারণ করে চলতে চলতে হবে। এসময় বনবিহারে পূণ্য লাভের আশায় আগত বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা সাধু সাধু ধনি দেন।
শেষে বর্তমান দেশ ও জাতী করোনা প্রভাব থেকে যেন মুক্ত হতে পারে সেই প্রার্থনা করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায তিনটিলা বনবিহারে হাজার বাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।

আপনার ইমেইল প্রদর্শন করা হবে না।