সীমান্তবর্তী এলাকায় সড়ক নির্মাণে নিরাপদ হবে পার্বত্য অঞ্চল, বাড়বে ব্যবসা:সেনাপ্রধান

৮১

সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের কাজ ঘুরে ঘুরে দেখেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

 

সীমান্ত সড়ক প্রকল্প শেষ হলে পার্বত্য অঞ্চলের কৃষি ও পর্যটনসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থা বদলে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, থানচি লিকরি সড়ক ও পার্বত্য তিন জেলায় ১০৩৬ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের কাজ শেষ হলে জেলাগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সংযোগ স্থাপনে সীমান্তে নিরাপত্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত সহজ হবে। এছাড়া কৃষি ও পর্যটনসহ ব্যবসার প্রসার হবে।

রবিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে বান্দরবানের থানচি সীমান্তের লিকরি সড়ক পরিদর্শনকালে তিনি এই কথা বলেন।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, সীমান্ত সড়কের কাজ শেষ হলে পাশ্ববর্তী দেশ থেকে অবৈধপথে পণ্য আসা বন্ধ হবে। তবে পাশ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন সহজ হবে। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, সীমান্ত এলাকার কৃষিপণ্য মূল ভূখণ্ডে এনে বিক্রি ও বণ্টন সহজ হবে। অন্যদিকে পাহাড়ে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আসা-যাওয়া সহজ হবে, পর্যটনেরও উন্নতি হবে।

এ সময় ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাসুদুর রহমান, ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের অতিরিক্ত পরিচালক ও সীমান্ত সড়ক প্রকল্প পরিচালক কর্নেল এ.এন.এম ফয়েজুর রহমান, ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ও সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক মেজর সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান ও অন্যান্য সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পার্বত্য জেলায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১০৩৬ কিলোমিটার সীমান্ত সড়কের কাজ চলমান আছে। প্রথম পর্যায়ে ৩১৭ কিলোমিটারের কাজ সাতটি ধাপে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরপর শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ।

মন্তব্য বন্ধ আছে তবে ট্র্যাকব্যাক ও পিংব্যাক চালু রয়েছে।