সাইবার কনটেন্ট প্রতিযোগিতায় প্রথম হলেন ঢাবি শিক্ষার্থী এস এম ফরহাদ এর টিম।

৯৪

আলোকিত লংগদু ডেস্কঃ

বেসরকারি সংস্থা ‘সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএ ফাউন্ডেশন)’ কর্তৃক আয়োজিত সাইবার সচেতনতা বিষয়ক কনটেন্ট তৈরি প্রতিযোগিতা-২০২১ এ প্রথম হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এস এম ফরহাদ এর টিম

শনিবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (সত্য) আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের ডিআইজি মো. শাহ আলম।

জানা যায়, বেসরকারি এই সংস্থার ‘ট্রুথ অ্যাম্বেসেডর’ প্রকল্পের আওতায় দেশের স্বনামধন্য ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০০ জন শিক্ষার্থীকে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২০০ জন থেকে বাছাইকৃত ৩০ জন শিক্ষার্থীদের তিন দিনের আবাসিক ট্রেনিং ক্যাম্প করানো হয়।

যেখানে তারা লিডারশিপ, সাইবার সিকিউরিটি, সহিংস উগ্রবাদ, ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা, গুজব প্রভৃতি সম্পর্কে বিস্তর প্রশিক্ষণ নিয়ে ‘ট্রুথ অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে নিজের কমিউনিটিতে সচেতনতা গড়ে তুলবেন। সর্বোপরি তারা প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ও সত্যের প্রচারের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভুমিকা পালন করবেন।

এই প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এস এম ফরহাদএর টিম। লংগদু উপজেলায় অবস্থিত গাঁথাছড়া বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের সুপার আলহাজ্ব মাওলানা হাফেজ ফোরকান আহমদ এর ছেলে সে। তার গ্রামের বাড়ি রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ গাঁথা ছড়ায় তার বাসস্থান। বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া আদর্শ দাখিল মাদরাসা শিক্ষার্থী সে। এ অর্জনের জন্য তার বাবা বলেন আমার আদরের সন্তানের আর্জন এ সমাজের অর্জন। তার অর্জনে আমি আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। আপনারা সকলেই আমার সন্তানের জন্য দোয়া করবেন।
এ ব্যাপারে ফরহাদ তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন জাতির অদূর ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির ব্যবহার যথাযথ নিশ্চিত করতে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। এতে আমি আমার টিম প্রথম স্থান অধিকার করায় প্রথমে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। তার পর আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর সকলের নিকট দোয়া কামনা করছি। ভবিষ্যৎও যেন আরো ভালো কিছু করতে পারি।

মন্তব্য বন্ধ আছে তবে ট্র্যাকব্যাক ও পিংব্যাক চালু রয়েছে।