মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

0 ৩২

মো.গোলামুর রহমান।।

লংগদু উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব সৈয়দ ইউনুছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ভূমি দখল ও মামলা হামলা এবং নির্যাতনের অভিযোগে গত ২৯ জানুয়রি রাঙ্গামাটির একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেছে, বাইট্টাপাড়া এলাকার মর্জিনা বেগম।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় উক্ত সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে লংগদু প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সৈয়দ ইউনুছ ও তার পরিবার।

এসময় সৈয়দ ইউনুছ তার বক্তব্যে বলেন, বাইট্টপাড়া এলাকার বাসিন্দা আওয়ামী লীগের দোষর লংগদু উপজেলা যুবলীগের সদস্য আব্দুর রহমান এবং তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম, উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আমার নামে ভূমি দখল, নির্যাতনসহ দলীয় প্রভাব বিস্তারের যে ভিত্তিহীন তথ্য সংবাদ সম্মেলন করেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করার পায়তারা মাত্র। এছাড়াও তার মিথ্যা প্রচারের কারনে সামাজিক ভাবে আমার মানহানিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি মর্জিনা তার বক্তব্যে বলেন ২৪ জুন ২০২২ সালে আমার সাথে তার একটি মামলার কথা উল্লেখ করেছেন, যাহা তার মিথ্যে কথার ফুলঝুরী মাত্র। কারণ সে মামলায় আমি আসামি নই। সেই মামলায় আসামি ছিল তারই চাচাত ভাই ও ভাবি । এটি তাদের পারিবারিক মামলা ছিল।

মর্জিনা আরো বলেন, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে আমি তাদের স্ব-পরিবারকে মেরে রক্তাক্ত করেছি। এখন প্রশ্ন হলো, তখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল। আমি যুবদলের সদস্য সচিব হয়ে ঐসময় এধরনের কার্য-কলাপ পরিচালনা করার সুযোগ আমার ছিলো কিনা? এই প্রশ্ন আপনাদের কাছে রইলো । এটিও একটি সাজোনা মিথ্যে।

বক্তব্যে তিনি বলেন, এডিএম কোর্টে একটি নিষেধজ্ঞা মামলা ছিল, সে সময় মর্জিনারা কাগজ পত্র উপস্থাপন করতে না পারায় মামলার রায় আমার পক্ষে আসে।বক্তব্যের তিনি আরোও বলেন, তার বোন রেহেনাকে আমি জোরপূর্বক কিটনাশক খায়িয়েছি। যেহেতু মামলা তার মায়ের সাথে, সেহেতু তাকে কিটনাশক খায়িয়ে আমার লাভ কি? এই প্রশ্নটুকুও আপনাদের কাছে রইলো। উক্ত জমিতে তারা দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত বসবাস করেন, কিন্ত আপনারা যেনে দেখবেন ওনার বয়স তো দূরের কথা ওনার মায়ের বয়সও ৫০ বছর হয়েছে কিনা? তিনি আরো বলেন, আমি কালাচান থেকে ৩.০০ (তিন একর) জমি ক্রয় করি। এটি সত্য হলেও কিন্ত দুঃখের বিষয় তিনি বলেন তার মার জমি ভূল চৌহদি দিয়ে কাগজ করে নিয়েছি আমি। যা মিথ্যে ও
দুঃখ জনক। যেখানে ওনার মা জাল-জালিয়াতি করে আওমীলীগ দোষরদের প্রভাব দেখিয়ে তার মেয়ের
জামাই উপজেলা যুবলীগের সদস্য আঃ রহমানের প্রভাবে আমার রেকর্ডকৃত জমি দখল করার উদ্দেশ্যে
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মামলা করে আমাকে হয়রানি করেছে।
এই পর্যন্ত ৬টি মামলা করে, যার ৪টি মামলার রায় আমার পক্ষে। এবং আমার জামির উপরে ২০১৭ সালে একটি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সুট কবুলিয়াত করে। যার ফলে তার সাথে আমার বিরুধ সৃষ্টি হয়।

ইউনুছ বলেন, প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের সাথে আমার একটি প্রশ্ন ২০২২ সালে বিএনপি ক্ষমতায় ছিল কিনা এবং
বর্তমানে বিএনপি ক্ষমতায় আছে কিনা? তাহলে কিভাবে আমি প্রভাব বিস্তার করলাম? দুঃখের বিষয় জাতীয় নির্বাচনের আগে যেনো আমি এলাকায় থাকতে না পারি, আওয়ামী লীগ দোষররা সকলে মিলে আমার নামে একটি
মামলা করেন। সেদিন আমি মামলার হাজিরা দিতে রাঙ্গামাটি গিয়েছিলাম, এসে দেখি আমার নামে আরোও একটি মারামারির মামলা হয়েছে। যেখানে আমি রাঙ্গামাটিতে ছিলাম সেখানে লংগদুতে আমি মারামারি করি কিভাবে? তাও আবার আমাকে এক নাম্বার আসামি করে। কারণ আমি যুবদলের সদস্য সচিব সে জন্য।

আমার রেকর্ডকৃত জমিতে আমি আছি, আমি ওনার জমিতে যাওয়ার প্রশ্ন আসেনা। বরং তারা আমার জমি দখল করে আছে। যার প্রমান সরুপ লিগ্যালইড স্যার সরজমিনে এসে তদন্তকালীন সময়ে তারা কোন কাগজ দেখাতে না পারলে আমার পক্ষে রায় আসে ।

সবশেষে আমি উক্ত মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং সমাজে আমার ও আমার দলের যে ভাবমূর্তি যারা নষ্ট করেছে, সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে বিচারের দাবিতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি ।

সবশেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সৈয়দ ইউনুছ তার জায়গার কাগজ দেখান এবং মর্জিনাদের কাগজ জেলা উপজেলার ভূমি অফিসের কোথাও পাওয়া যায়নি সে প্রত্যায়নও দেখান তিনি।

আপনার ইমেইল প্রদর্শন করা হবে না।