বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপর পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হামলা,পাল্টা সেনাবাহিনীর গুলিতে ২ সন্ত্রাসী নিহত
মঙ্গলবার রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ইউপিডিএফের (ইউনাইটেড পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) দুই সদস্য। নিহতরা হল- আশাপূর্ণ চাকমা (২৮) ওরফে রকেট এবং রাঙ্গামাটি সদরের বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের ধামাইছড়া গ্রামের বাসিন্দা সুসেন মণি চাকমার ছেলে সম্ভু চাকমা (৩৫) ওরফে ইন্দ্রজয়। ইউপিডিএফ নিন্দা জানিয়ে দাবি করে বলছে, বিচারবহির্ভূতভাবে তাদের এক সদস্যসহ ওই দুই জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
নিরাপত্তাবাহিনীর সূত্রে বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের মুন্সী আবদুর রউফের মাজার সংলগ্ন কাপ্তাই হ্রদ এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি টহলবোট অবস্থান করছিল। ওই সময় টহলবোটে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি চালায় ইউপিডিএফ সমর্থিত একদল সশস্ত্র সদস্য। এতে শাহাবুদ্দিন (২৮) নামে এক সেনা সদস্য গুলিতে আহত হন। পরে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই ওই দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়। নিহত দু’জনেই ইউপিডিএফের সদস্য। এক পর্যায়ে পিছু হটে পাশের জঙ্গলে পালায় সন্ত্রাসীরা। পরে তল্লাশি চালিয়ে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া একটি এসএমজি ও একটি গুলিভর্তি ম্যাগজিন উদ্ধার করেন, সেনা সদস্যরা। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশসহ নিহত দুই সন্ত্রাসীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত সেনা সদস্য শাহাবুদ্দিনকে সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে রাঙ্গামাটি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি দেখে হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম সামরিক হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার সকালে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দুই জনের দাহক্রিয়া সম্পাদনে রাঙ্গামাটি পৌরসভাকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান, নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির রহমান।
রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির জানান, ওই এলাকায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর টহলবোটে অতর্কিত গুলি চালায়। আত্মরক্ষায় সেনা সদস্যরা পাল্টা গুলি চালালে দুই সন্ত্রাসী মারা যায়। নিহত দু’জনেই ইউপিডিএফের সদস্য।