কাতার হারের হ্যাটট্রিক, সেনেগাল দ্বিতীয় পর্বে

১৫০

ডেস্ক রিপোর্ট:

প্রথম ম্যাচেই হেরে বসেছিল সেনেগাল। ওদিকে ইকুয়েডরের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। স্বাগতিক দলকে হারিয়ে পরের ম্যাচে দাপিয়ে বেড়িয়েছে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। সেদিন এক পয়েন্ট পেয়ে হতাশ নেদারল্যান্ডস নয়, ইকুয়েডরই হয়েছিল।

শেষ ষোলোর সমীকরণ আজ ইকুয়েডরের জন্যই ছিল সহজ। ড্র করলেই উঠে যেত তারা। কিন্তু সেনেগালই দেখাল দাপট। ২-১ গোলের জয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের নকআউটে সেনাগাল।

অন্য ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে গ্রুপ পর্ব শেষ করল কাতার। প্রথম কোনো আয়োজক দেশ হিসেবে নিজেদের সব ম্যাচেই হারার রেকর্ড করল কাতার।

কাতার-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে খুব বেশি আগ্রহ ছিল না। কাতার যদি ৩ গোলের ব্যবধানে জয় পেত এবং অন্য ম্যাচ ড্র হতো, তবে গোল ব্যবধানে বাদ পড়ে যেত নেদারল্যান্ডস। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে দুই দলের পারফরম্যান্স বলছিল, এমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। কোদি খাকপোর ২৬ মিনিটের গোল ও ৪৯ মিনিটে ফ্র্যাঙ্কি দি ইয়ংয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়া সমীকরণটা সহজ করে দিয়েছে।

অন্য ম্যাচেই তাই আগ্রহ ছিল। কে জানে না জিতলেও চলবে– এই ধারণাটা মাথায় বেশি গেঁথে নিয়েছিল কি না ইকুয়েডরের। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে আগ্রহ দেখা গেছে সেনেগালের বেশি। প্রথম ম্যাচে ইতিবাচক ও ডিরেক্ট ফুটবল খেলা ইকুয়েডরের দেখা প্রথমার্ধে মেলেনি।

একের পর এক আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না সেনেগাল। তবে গোল যে হবে, সে ইঙ্গিত ঠিকই মিলছিল। ৪২ মিনিটে ফলও মিলল। ইসমাইলা সারকে আটকাতে গিয়ে ফেলে দেন হিনকাপি। পেনাল্টির পর অতি পরিচিত হালকা তর্ক-বিতর্ক শেষে এগিয়ে এলেন সার। ৪৪ মিনিটে এগিয়ে গেল সেনেগাল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও তেরেঙ্গার সিংহদের। দারুণ আক্রমণাত্মক সে শুরু অবশ্য একটু পরেই ঝিমিয়ে গেছে। ইকুয়েডর অবশেষে জেগে উঠেছিল তখন। টানা কয়েকটি আক্রমণের ফল এল ৬৭ মিনিটে। কর্নার থেকে বল ভেসে এসেছিল। হেড করেছিলেন ফেলিস তোরেস। সেটা ফাঁকায় দাঁড়ানো ময়সেস কাইসেদোর পায়ে যেতেই গোল। অফসাইডের দাবি তোলার উপায় ছিল না। সেনেগালের এক ডিফেন্ডার যে গোলকিপারের পাশেই দাঁড়িয়ে।

৩ মিনিট, আরও নির্দিষ্ট করে বললে ১৫০ সেকেন্ড পরই হতাশা কাটিয়ে উঠেছে সেনেগাল। ডি-বক্সের একটু বাইরে ফ্রি-কিক পেয়েছিল সেনেগাল। ইদ্রিসা গানা-গেয়ের ফ্রি কিক তোরেসের কাঁধে পড়ে চলে যায় কালিদু কুলিবালির কাছে। সেনেগাল অধিনায়কের শট প্রতিপক্ষের কেউ ঠেকাতে পারেননি।

এটাই কুলিবালির প্রথম আন্তর্জাতিক গোল। অথচ জাতীয় দলের হয়ে ৩১ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারের ৬৭তম ম্যাচ ছিল আজ। নিজের প্রথম গোলেই দল বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে, এমন চিত্রনাট্য মনে হয় না নিজেও সাহস করে লিখতে পারতেন কুলিবালি!

মন্তব্য বন্ধ আছে তবে ট্র্যাকব্যাক ও পিংব্যাক চালু রয়েছে।