কাজ ছাড়াই রাস্তায় বেরোনোয় গ্রেপ্তার ৩২০, জরিমানা ৬ লাখ
কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অপ্রয়োজনে বের হওয়ার অভিযোগে ৩২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলারক্ষা বাহিনী। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে ২০৮ জনকে।
অন্যদিকে, ট্রাফিক কর্তৃক মামলা হয়েছে ২১৯ টি। জরিমানার পরিমাণ ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা। এবং ৬৮ টি গাড়িতে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করেছে কর্তব্যরতরা।শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীজুড়ে চলমান কঠোর লকডাউনে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করায় এসব শাস্তি আরোপ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।এদিকে, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কলাবাগান, পান্থপথ থেকে চারজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে শাস্তি দেওয়া হবে নাকি মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি বলে জানিয়েছেন কলাবাগান থানার এসআই পলাশ চন্দ্র কর।রমনা থানার ডিউটি অফিসার এএসআই আমেনা বেগম বলেন, ‘আমাদের মাঠের সদস্যরা ৫ জনকে থানায় নিয়ে এসেছে। তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে।’দুপুর পর্যন্ত ১২ জনকে মিরপুর থানায় নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ডিউটি অফিসার নুরুজ্জামান বলেন, ‘ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা কথা বলে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।’পুলিশ বলছে, সরকারের নিষেধাজ্ঞার পরও যারা যৌক্তিক কারণ ছাড়া রাস্তায় বের হয়েছে কিংবা স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করবে, তাদেরই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে এক সপ্তাহের জন্য এই কঠোর লকডাউন শুরু হয়।সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সারা দেশেই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় ১০৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মাঠে রাখা হয়েছে। অফিস-আদালত, গণপরিবহন, শপিংমল বন্ধ; জরুরি সেবার গাড়ি ছাড়া সব যান্ত্রিক বাহন চলাচলেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।এর আগে, লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) ঢাকার রাস্তায় গ্রেপ্তার হন ৫৫০ জন। তারা প্রয়োজন ছাড়াই ঘর থেকে বের হয়েছিলেন বলছে পুলিশ।
মন্তব্য বন্ধ আছে তবে ট্র্যাকব্যাক ও পিংব্যাক চালু রয়েছে।