শিক্ষার প্রসারে স্কুল পূর্ণসংস্কার এবং শিক্ষা উপকরণ বিতরণে রুমা জোন।
শিক্ষার প্রসারে স্কুল পূর্ণসংস্কার এবং শিক্ষা উপকরণ বিতরণে রুমা জোন।
বান্দরবান রুমা সেনা জোন (৩৮ ইবি) কর্তৃক দুর্গম এলাকাসমূহে শিক্ষার প্রসারে স্কুল পূর্ণসংস্কার এবং শিক্ষা সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
অদ্য সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) রুমা সেনা জোন (৩৮ই বেংগল)-এর তত্ত্বাবধানে রোয়াংছড়ি উপজেলার রৌনিন পাড়া ও পার্শ্ববর্তী দুর্গম এলাকাসমূহে শিক্ষার প্রসারে স্কুল পূর্ণসংস্কার এবং শিক্ষা সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৬০,৫২৪.০০ টাকা, ফলে ২টি স্কুলে ১০১ জন দরিদ্র শিশু শিক্ষার্থী এবং ৩টি গির্জাসহ সর্বমোট ১০৫ জন উপজাতি সেনাবাহিনীর এই মহান উদ্যোগে উপকৃত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ৩৮ ই বেংগলের উপ- অধিনায়ক মেজর মোঃ কামরুল হাসান, পিএসসি, রৌনিন পাড়া ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন এ বি এম সাকিব সারজিদ, প্রধান শিক্ষক লাল রোয়াত খুপ বম, গির্জা পালক-ইসিসি চার্চ জৌময়, রেমিং থাং, গির্জা পালক- পিসিবি চার্চ লিয়ান থং, তোয়ার আলহ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।
এসময় মেজর মোঃ কামরুল হাসান, পিএসসি বলেন, শিক্ষা মানুষকে প্রয়োজনীয় দক্ষতা জ্ঞান প্রদানের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করে, তাদেরকে জাতীয় অর্থনীতি ও উন্নয়নে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম করে। এটি সামাজিক অন্তর্ভুক্তিকে উৎসাহিত করে, দারিদ্রের চক্র ভেঙ্গে দেয় এবং তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে নেতৃত্বের প্রসার ঘটায়। শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ প্রযুক্তিগত এবং অবকাঠামোগত অগ্রগতিতে অবদান রেখে তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে পারে। শিক্ষা ব্যবধান পূরণ করে, বৃহত্তর সমাজের মধ্যে বৃদ্ধি ও অগ্রগতির সুযোগের সাথে তাদের সংযোগ করে। শিক্ষা আলোর মতো কাজ করবে এবং মানুষকে ভবিষ্যত সমাজের পরিবর্তনের পথ দেখাবে। শিক্ষিত মানুষ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও চাঁদাবাজিতে সম্পৃক্ত হয়না, তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা উত্তরণে সচেষ্ট থাকেন, কারণ তারা শান্তিতে বিশ্বাসী। আজকের শিশুরাই এই সমাজের ভবিষ্যৎ। উন্নয়নের অংশ হিসেবে আমরা শিক্ষার প্রসারের চেষ্টা করছি যাতে এই শিশুরা লেখাপড়া থেকে ঝরে না পরে। আমরা দেখতে চাই এই শিশুরা প্রয়োজনীয় শিক্ষা গ্রহণ করে একদিন সমাজ ও জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখবে এবং তাদের সাফল্যই হবে আমাদের সন্তুষ্টি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা মানুষের পাশে ছিল, আছে, থাকবে। ভবিষ্যতেও যেকোন প্রতিকূল পরিবেশেও সেনাবাহিনী স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে।