লংগদুতে করোনা শনাক্ত ৯৭, মৃত্যু ১!

১০০

সাকিব আলম মামুন, লংগদু সদর

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় মহামারী প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের হার দ্রুত বেড়ে চলেছে। দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে লংগদুতে সংক্রমণ পূর্বের তুলনায় অধিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে করোনা মহামারির ২য় ধাপে এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৭ জন।

বুধবার (১১ আগস্ট) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে ৬ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে ২ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, কোভিড -১৯ এর দ্বিতীয় ধাপে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড়শতাধিক নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যাদের প্রত্যেকেই জ্বর, গলা ব্যাথার মতো উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন করোনা টেস্ট করাতে। আক্রান্তদের সবাইকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।

লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অরবিন্দ চাকমা বলেন, লংগদুতেও কোভিডের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। বর্তমানে এই পাহাড়ী উপজেলায় করোনা সংক্রমণের হার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। মানুষ সচেতন না হলে তা আরো ভয়াবহ অবস্থা হতে পারে। এখনো অনেকেই উপসর্গ নিয়ে ঘরে বসে আছেন। টেস্ট করাতে আসছেন না। নিজে ঝুঁকির মধ্যে আছেন এবং আশেপাশের সবাইকে ঝুঁকিতে ফেলছেন।
উপজেলা পর্যায়ে কোভিডের তেমন কোনো চিকিৎসা নেই। মাত্র পাঁচজন রোগী ভর্তি করার ব্যবস্থা আছে। এছাড়া অক্সিজেন আছে মাত্র ২০ সিলিন্ডার। মানুষ সচেতন না হলে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। অবশ্যই ঘরের বাইরে গেলে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। এছাড়া যাদের শরীরে সামান্যতম উপসর্গ দেখা দেবে তাদের অবশ্যই করোনা টেস্ট করানো দরকার। কোভিড-১৯ এর মহামারীর এমন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।

উল্লেখ্য যে, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে মহামারীর প্রাক্কালে সরকার কর্তৃক নির্দেশিত বিধিনিষেধ যথাযথ পালনে লংগদু উপজেলা প্রশাসন, লংগদু থানা ও যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা সর্বদা হাট বাজার ও রাস্তা ঘাটে মাইকিং ও প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন।

মন্তব্য বন্ধ আছে তবে ট্র্যাকব্যাক ও পিংব্যাক চালু রয়েছে।