বিশ্ববাজারে দাম কমলে সমন্বয় করা হবে
![](https://alokitolangadu.com/wp-content/uploads/2022/08/Kader1.jpg)
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সরকার নিরুপায় হয়ে দাম বাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য হ্রাস পেলে সরকার আবারও দাম সমন্বয় করবে। গতকাল রবিবার সকালে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এর ফলে ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হারেও প্রভাব পড়ে, এতে বিপিসিকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশে জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় পাচারের আশঙ্কাও ছিল। বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির ফলে গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বিপিসির লোকসান ছিল প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। এ প্রেক্ষাপটেই সরকারকে বাধ্য হয়ে মূল্য সমন্বয় করতে হয়েছে।
বিভিন্ন দেশের জ্বালানি তেলের বর্তমান দাম তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমারে ডিজেলের লিটারপ্রতি দাম ১১২ টাকা ৫৬ পয়সা, ভারতে ১১৪ টাকা, শ্রীলংকায় ১১৭ টাকা ৪৯ পয়সা, আরব আমিরাতে ১২২ টাকা ৮০ পয়সা, নেপালে ১২৭ টাকা ৮২ পয়সা, সিঙ্গাপুরে ১৮৯ টাকা ৭৮ পয়সা এবং হংকংয়ে ২৬০ টাকা ৭৫ পয়সা।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার এর আগে গত ৪ নভেম্বর মূল্য সমন্বয় করে। এর আগে ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় ডিজেলের মূল্য কমিয়েছিল। ভবিষ্যতেও বিশ্ববাজারে দাম কমলে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম কমিয়ে সমন্বয় করা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ কথা সত্য, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ে অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে। সরকার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রেখে নেতিবাচক প্রভাব নিম্নপর্যায়ে রাখতে সচেষ্ট। স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনমান, কৃষি উৎপাদনসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোয় বিভিন্ন ধরনের সাপোর্ট কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি সরকার বিবেচনায় নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে বিশ্ববাজারে শিগগিরই জ্বালানির দাম স্থিতিশীল হতে শুরু করবে, সেটা আমাদের জন্য আশার বার্তা বয়ে আনবে। মন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, কোনো পরিবহন সমন্বয়কৃত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘সরকার দানবে পরিণত হয়েছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আসলে এদেশে মানুষ হত্যা, জনগণের সম্পদ নষ্ট করা এবং জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে বিএনপিই মূর্তিমান দানবে রূপ নিয়েছে। যারা হত্যার রাজনীতিতে হাতেখড়ি দিয়ে রাজনীতি শুরু করে তারাই দানব, তারা দানবের চেয়েও ভয়ঙ্কর। যাদের দুর্নীতির দুর্গন্ধে ভূত পালায়, তারাই সরকারের সব কাজে দুর্নীতির দুর্গন্ধ খুঁজে বেড়ায়। #
মন্তব্য বন্ধ আছে তবে ট্র্যাকব্যাক ও পিংব্যাক চালু রয়েছে।