পাহাড়ে মাদক উৎপাদন বন্ধে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান

১৯৮

আজ, সোমবার (৬ জুন) সকাল ১০টায় মহালছড়ি সেনা জোনের দাতকুপিয়া আর্মি ক্যাম্পের অন্তর্গত বিহারপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ গাঁজা ক্ষেতে (আনুমানিক ২২০ কেজি ওজনের) গাঁজা উদ্ধার করে। মহালছড়ি সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. আবু ফয়সাল তুষার, পিএসসি উক্ত অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, দুর্গম পাহাড়ে গাঁজার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে মাদক ব্যবসায়ীরা।পরবর্তীতে পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রশাসক, স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিতি স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে গাঁজা ক্ষেত পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর তথ্য জানা যায়, গহীন অরণ্য ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেখানে জনবসতি তুলনামূলক কম এরকম জায়গায় মাদক সন্ত্রাসীরা নিরাপদ এলাকা হিসাবে বেছে নিয়েছে।

প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় জনসাধারণের চলাচল নেই। কিন্তু সেনাবাহিনীর নজরদারি ও কঠোর গোয়েন্দা তৎপরতার ফলে মহালছড়ি সেনা জোন গাঁজার ক্ষেতের সন্ধান পায়। জমির মালিক দিলীপ কুমার চাকমা (৫০), পিতাঃ অনিল কুমার চাকমা, গ্রামঃ বিহারপাড়া, ৩ নং কেয়াংঘাট ইউনিয়ন, থানাঃ মহালছড়ি, জেলাঃ খাগড়াছড়ি। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন।

গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করার সময় মহালছড়ি উপজেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সহকারী পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন এবং মহালছড়ি থানার এস আই মো. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

নিরাপত্তা বাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকায় জনগণ স্বস্তি পেয়েছে। জনগণের জীবনমান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মহালছড়ি সেনা জোন সর্বদাই সাধারণ মানুষের পাশে থাকছে। মহালছড়ি সেনা জোনে এ ধরনের কর্মকান্ড সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন ধরনের মাদকের চাষ বন্ধ করে মাদককে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হবে তা অনুমেয়।
মহালছড়ি সেনা জোনের এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। মহালছড়ি সেনা জোন অতীতে এ ধরনের বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে এবং বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে জোনের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পেলেও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আস্থা বাড়ছে এবং সম্পর্ক উন্নয়ন হচ্ছে।

মন্তব্য বন্ধ আছে তবে ট্র্যাকব্যাক ও পিংব্যাক চালু রয়েছে।