জমি বিরোধ নিয়ে একই পরিবারের পাঁচজন আহত
দৈনিক আলোকিত লংগদু ডেক্সঃ
নিজেদের বাড়িতে প্রতিবেশীকে থাকতে দিয়ে, মারধরের স্বীকার হয়ে একই পরিবারের পাঁচজন গুরুতর আহত অবস্থায় লংগদু সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়।
বুধবার দুপুরে মাইনীমুখ ইউনিয়নের পূর্ব জারুল বাগান এলাকায় এঘটনা ঘটে। বাড়ির মালিক মমতাজ বেগম(৫০) সহ তার স্বামী ও দুই ছেলে এক মেয়ে গুরুতর আহত হয়।
মমতাজ বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, আমাদের বাড়িতে থাকার জন্য প্রতিবেশী ঝুনু আলমকে আমাদের বাড়িতে থাকার জন্য আশ্রয় দেই। সেই সুবাদে সে দীর্ঘদিন আমাদের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলো। পরবর্তীতে তাকে আমাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বল্লে, সে উল্টো আমাদের জায়গাটি তার জায়গা বলে দাবী করে। তাকে উচ্ছেদ করার জন্য ২০১৯ সালে আমরা আদালতে মামলা দায়ের করি। সে তখন থেকে দলীয় প্রভাব দেখিয়ে আদালতের আদেশ অমান্য করে এখনো আছে। সেদিন বাড়ি থেকে চলে যেতে বল্লে ঝুনু আলম, তার ছেলে ও আত্মীয় খোকন মাঝি আমাকে ও আমার ছেলে মেয়েদের মারধর করে। ঝুনু আলমের ছেলে রুবেল আমাকে চুল ধরে ঘর থেকে টেনে রাস্তায় নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে, গলায় পারা মেরে ধরে রাখে। তখন আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেল্লে, আমাকে রেখে আমার ছেলে মেয়ে ও আমার স্বামীকে মারধর করে আহত করে ফেলে চলে যায়।
তিনি জানান, আমার মেয়ের বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়েছে, আগামী সপ্তাহে বিয়ে এপর্যায়ে এসে আমার যুবতী মেয়েকেও তারা ছাড়েনি।
ছেলে সাকিব বলেন, ওরা আমার মা কে একদম মেরে ফেলতে চেয়েছে। বিভিন্ন সময় তারা দলীয় প্রভাব দেখিয়ে আসছিলো। আমার বাবাকেও তারা বেশ কয়েকবার মারধর করেছে। সাকিব জানায় যারা মারধর করেছন তারা হলেন একই এলাকার ১.খোকন মাঝি, ২. রুবেল পিতা ঝুনু আলম, ৩.সোহেল, ৪.নাজিম,৫.ঝুলি, ৬.ঝুনু আলম,৭. কুলসুমা সহ ২০ থেকে ২৫জন মিলে আমাদের বাড়ি ভাংচুর করে আমাদের সবাইকে আহত করে, আমাদের ঘরেই তালাবদ্ধ করে দেয়।
মমতাজ বেগমের স্বমী লাল মিয়া বলেন, ঝুনু আলম তার ছেলেরা আমাদের জায়গায় থেকে আমাদেরকেই দীর্ঘদিন যাবত কষ্ট দিয়ে আসছে। তারা বিভিন্ন সময় আমাকে মারধর করেছে। এখন আবারো আমার পরিবারের সবাইকে আহত করেছে এর জন্য আমার ছেলে বাদী হয়ে লংগদু জোনে বিচার দিয়েছে। আমরা সঠিক বিচার চাই। ওদের হাত থেকে আমরা মুক্তি চাই।