ছাত্র আছে কিন্তু ভবন নাই- কোমলমতি শিশুদের কষ্ট যেনো পাহাড় সমান
মো. গোলামুর রহমান।।
অর্থ সঙ্কট ও ভবন না থাকায়, রাঙ্গীপাড়া মারকাযুল কোরআন নূরানী মাদ্রাসার শতাধিক কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা বৃষ্টি ভিজে এবং রদে পুরে কোনরকম ক্লাস করে যাচ্ছেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের রাঙ্গীপাড়া মারকাযুল কোরআন নূরানী মাদ্রাসায় দেখা যায়, শিশুরা তেরপালের চাউনি দিয়ে ঘেরাও একটি রুমে ক্লাস করছেন। এছাড়া মসজিদের বারান্দা ও খালি মাঠেও ক্লাস করে কোমলমতি শিশুরা। মাদ্রাসায় নূরানী থেকে ক্লাস তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত থাকায় প্রতিষ্ঠানটির একটি নির্দিষ্ট ভবনের জরুরি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী জুনায়েদ বলেন, একদিন বৃষ্টির পানি দিয়ে আমার বই খাতা ভিজে গেছে। আমরা সবাই কষ্টকরে এক পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এভাবে ছাত্র ছাত্রীরা সবাই তাদের দুঃখ কষ্টের কথা বলা শুরু করে, যা হৃদয় বিদারক । নূরানীর একজন শিশু ছাত্র হাবিব বলেই ফেলেন, স্যার আমাদের একটা বিল্ডিং করেদেন। আমরা কষ্টকরে পড়া লেখা করি।
মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা হুসাইন বলেন, মাদ্রাসাটি এলাকার মানুষের সহযোগীতায় ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। অত্র এলাকার মানুষজন কৃষির উপর নির্ভরশীল হওয়ায় কোনরকম ৫জন শিক্ষককের সম্মানী দিয়ে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে যাচ্ছে। মাদ্রাসাটি প্রথমে নূরানী দিয়ে চালু করা হয়। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে আরো তিনটি ক্লাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসায় শতাধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। কিন্তু কোমলমতি শিশুরা যে বসে ক্লাস করবে ন পরিস্থিতি মাদ্রাসায় নাই। কোনরকম তেরপাল,মসজিদের বারান্দা, এবং বাহিরে বসেই ক্লাসের কার্যক্রম চলে। তিনি বলেন সরকারী ভাবে বা সমাজের ভিত্তবানদের কাছে অনুরোধ থাকবে যেনো মাদ্রাসাটির একটি ভবনের জন্য সবাই এগিয়ে আসে। কেউ যদি মাদ্রাসায় যোগাযোগ করতে চায় তাহলে আমাদের কমিটির ভবন সমন্বয়ক এর সাথে যোগাযোগ করলে আমরা উপকৃত হবো। ০১৮২৭৫১৬৭৮৫ এ নাম্বারটিতে আমাদের নগদ/ বিকাশ রয়েছে। যোগাযোগের জন্য আমাদের নাম্বারটি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও IBBL Agent Banking
Acc No: 20507770219231678 নাম্বারে সহযোগীতা প্রেরণ করতে পারেন। মাদ্রসা প্রধানের সাথে এ নাম্বারে ০১৮৪৩ ১৬০৭৪২ যোগাযোগের মাধ্যমে আমাদের সহযোগিতা করার আহবান করছি।
মাদ্রাসা কমিটির ঘর শ্রেণী কক্ষ উন্নয়ন সমন্বয়ক এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০২১ সালে মাদ্রাসাটি ছোট পরিসরে নূরানী দিয়ে কোমলমতি শিশুদের নিয়ে পাঠদানের কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে ক্লাস বৃদ্ধি এবং ছাত্রছাত্রী বৃদ্ধি হওয়ায়, ভবন সংকটে পড়েছি আমরা। বর্তমানে কোনরকম মসজিদের বারান্দায়, বাহিরে বসে ক্লাসের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এমতাবস্থায় মাদ্রাসা কমিটির পক্ষ হতে বিভিন্ন জায়গায় ভবনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালনা করতে জরুরি একটি ভবনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা গিয়াস উদ্দীন বলেন, অত্র এলাকার মানুষের সার্বিক সহযোগীতা দিয়ে মাদ্রাসার কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে আমাদের মাদ্রাসায় ৫জন শিক্ষককের সম্মানি দিয়ে, মাদ্রাসা উন্নয়ন করা আমাদের পক্ষে কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। সমাজের ভিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসে তাহলে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ঘুরে দাড়াতে পারবে।