কেলিশহর গ্রামে ৭টি পরিবারের বসতবাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই। মৃত ১

২০৩

রুপম পান্থ – পটিয়া উপজেলার কেলিশহর গ্রামে ৩নং ওয়ার্ডে ধোপা পাড়া এলাকায় ৭টি পরিবারের বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।

শনিবার (১৭ডিসেম্বর ) রাত ১১টায় কেলিশহর ইউনিয়নের ধোপাপাড়া এলাকায় চুলার আগুন থেকে এই আগুনের সুত্রপাত হয় বলে জানা যায়। ফলে নয়ন দাস (৪০), তপন দাস(৫০), তরুণ দাশ(৫৪), বরুণ দাশ(৫২), অরুন দাস(৫০), দোলন দাশ(৪৮) ও পলাশ দাশ(৩৮) বসত ঘর সম্পুর্ণ পুড়ে ছাই যায়।
আগুন দেখে স্থানীয়রা ছুটে এসে আগুন নেবানোর চেষ্ঠা করে। বৈদ্যুতিক তারের অবস্থা দেখে ৯৯৯ ফোন করে। ৯৯৯ থেকে ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ দিলে তাঁরা এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। তার আগেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭টি পরিবারের বসত ঘর সহ তাঁদের ঘরে থাকা সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
নয়ন দাশ( ৪০) তার ১বছরের সন্তান ঘরের ভিতর আছে মনে করে ঘরে প্রবেশ করলে জলন্ত আগুনের ছাল তার গায়ের উপর পড়লে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শরীরের প্রায় আশি শতাংশ পুড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে নিয়ে যাওয়ার পথে কুমিল্লা নামক স্থানে তার মৃত্যু হয়। তার স্ত্রীসহ দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ তপন দাস বলেন , আগুনে পুড়ে আমাদের সাতটি পবিবারের সবকিছু হারিয়ে এখন নিঃশ্ব হয়ে গেছি। গায়ে জড়ানো এইনকাপড় ছাড়া আর অবশিষ্ট কিছুই নেই।
খবর পেয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে দেখতে ছুটে আসেন পটিয়া উপজেলার নির্বাহী মেজিস্ট্রেট জনাব আতিকুল মামুন, পটিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান জনাব মোতাহারুল ইসলাম এবং পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব আকম শামসুজ্জামান। পটিয়া উপজেলা প্রশাসনে পক্ষ থেকে সাতটি পরিবারে মাঝে দুটি করে কম্বল ও তিনহাজার টাকা নগদ অর্থ প্রদান করা হয় এবং আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘর তৈরির জন্য সব রকমের সহায়তা প্রদান করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করা হয়।
১১নং কেলিশহর ইউনিয়ন পরিযদের চেয়ারম্যান সরোজ কান্তি সেন নান্টু এবং ইউপি সদস্য বাসু দাশ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সবকিছু সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
পটিয়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন শেখ আবু জাহিদ প্রতিবেদককে জানান, রাত ১১ টায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে আমাদের ১টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁর আগেই তাঁদের ঘরের সব জিনিসপত্র পুড়ে যায়। ধরণা করা হচ্ছে চুলার আগুন থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

মন্তব্য বন্ধ আছে তবে ট্র্যাকব্যাক ও পিংব্যাক চালু রয়েছে।