ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরো কাপ ঘরে তুলল মানচিনির ইতালি

১৭৬

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরো কাপ ঘরে তুলল মানচিনির ইতালি। ঘরের মাঠ। ব্যাপক জনসমর্থন। ইউরো ফাইনাল খেলতে নেমে কোনও দলের এর থেকে বেশী আর কী চাই! স্টারলিং, হ্যারিকেনের পায়ে বল গেলেই গোটা ওয়েম্বলি চেঁচিয়ে উঠছে। অন্যদিকে ইতালি মিস করলেই ইংরেজ সমর্থকরা ‘বু’ দিয়ে উঠছে। ফাইনাল ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই কাকে বলে তা হয়তো দেখিয়ে দিল ইংল্যান্ড ও ইতালি। অনেকেই বলছেন, এবারের ইতালি একেবারে আলাদা। ইতালি ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলে। সেসব এখন অতীত। ইতালি নিজেদের খোলনলচে বদলে ফেলেছে। আর এর পেছনে কোচ মানচিনি আসল গেম চেঞ্জার। ইতালির কোচ হিসেবে তিনি এক নতুন ধারার জন্ম দিয়েছেন। সেই ধারাতেই ইতালি এখন প্রবল আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছে। গোটা ইউরো কাপে সেই আক্রমণাত্মক ফুটবলের পরম্পরা বজায় রাখল মানচিনির ইতালি। এমনকী ফাইনাল ম্যাচের শুরুতেই গোল হজম করার পরও একটানা ইংল্যান্ডের বক্সে আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছে খিয়েসা, বোনুচ্চিরা।

ইটস কামিং হোম। এই স্লোগানে এবার মাত করেছিল ইংল্যান্ড। ৫৫ বছর বড় ট্রফি নেই ঘরে। এবারও হল না। ক্রিকেটে একের পর এক বড় ট্রফি। অথচ ফুটবলে খরা। এটাই যেন ইংরেজরা মেনে নিতে পারছিলেন না। ক্রিকেটের জনক ফুটবলে একচেটিয়া হয়ে উঠতে চেয়েছিল। তবে রুখে দিল ইতালি। তাও পেনাল্টি শুট আউটে। গোটা টুর্ণামেন্টে ইংল্যান্ডের প্রতিটা বিভাগ অবশ্য অসাধারণ পারফর্ম করেছে। এদিনও ইংল্যান্ডের শক্তপোক্ত ডিফেন্স ভাঙতে গিয়ে কালঘাম ছুটে ছিল ইতালির। তবে শেষমেশ ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি।

 

নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফল ১-১। ম্যাচের ২ মিনিটের মাথায় লুক শ গোল দেন। এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। সেই গোল প্রথমার্ধে ধরে রেখেছিল ইংরেজরা। তবে ইতালির একের পর এক আক্রমণ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিল ইংল্যান্ড ডিফেন্স। ৬৭ মিনিটের মাথায় গোল শোধ দেন বোনুচ্চি।

গোল খাওয়ার পর একবারের জন্যও দমে যায়নি ইতালি। ফাইনাল ম্য়াচের টেম্পারামেন্ট ধরে রেখেছিলেন মানচিনির ছেলেরা। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরো জিতল ইতালি। তবে আলাদা করে বলতে হয় ইতালির গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোানরুমার কথা। ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট হলেন তিনি। এদিন তাঁর হাতেই যেন ইতালির স্বপ্নপূরণ হল।

মন্তব্য বন্ধ আছে তবে ট্র্যাকব্যাক ও পিংব্যাক চালু রয়েছে।