আগুনে সর্বহারা করে দিলো বাইট্টাপাড়া বাজার ব্যবসায়ীদের

১১৫

মো.গোলামুর রহমান,লংগদু(রাঙ্গামাটি)

রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা বাইট্টাপাড়া বাজারে আগুন লেগে ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) আনুমানিক সন্ধ্যা ৫ ঘটিকার সময় স্থানীয় গ্যারেজ মালিক মুসলিম উদ্দীনের দোকান থেকে বিদ্যুৎ এর শর্ট সার্কিট এর মাধ্যমে আগুনের সুত্র হয়েছে বলে জানাযায়।

এসময় বাইট্টাপাড়া বাজারের আগুনে ছোট বড় প্রায় ৩১ টি দোকান সম্পূর্ণ আগুনে পুড়ে ছাই হয়েগেছে। আগুন লাগার সাথে সাথে স্থানীয় জনগন, লংগদু থানা পুলিশ, লংগদু সেনা জোন,বাইট্টাপাড়া আনছার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা সহ নানা শ্রেণির মানুষ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে সন্ধ্যা ৭.৫০ মিনিটি দিঘিনালা উপজেলা হতে দমকল বাহিনী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানান, দোকান থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে সবাই চিৎকার চেচামেচি শুরু করে, মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশে থাকা বিভিন্ন দোকানে। সন্ধ্যা ৫ টা থেকে রাত ৭.৩০ পর্যন্ত আগুনের লেলিহানে পুড়তে থাকে দোকান পাট।পরে দীঘিনালা হতে দমকল বাহিনীর লোক এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এসময় স্থানীয় ফল বিক্রেতা আল আমিন নামে একজন আহত হয়ে লংগদু সদর হাসপাতেলে ভর্তি হয়েছে বলে জানাযায়।

 

বাইট্টাপাড়া বাজার কমিটির সভাপতি সৌরব হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে আগুনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকার মত হবে। তিনি বলেন, যেভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আশাকরি প্রশাসন সহ সকলে ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা করবেন। যে হারে ক্ষতি হয়েছে প্রত্যেকটি ব্যবসায়ী মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মাইনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন (কমল) বলেন, আগুন লাগার সাথে আমরা ঘটনা স্থলে এসে দেখি আগুন বিভিন্ন দোকনে ছড়িয়ে পড়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে সকলে মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি।

 

লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল উদ্দীন বলেন, আগুনের খবর পেয়ে আমাদের থানা পুলিশ, লংগদু সেনা জোন,বাইট্টাপাড়া আনছার ব্যাটালিয়ন সহ স্থানীয় জনগন আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে, পরে দীঘিনালা থেকে দমকল বাহিনীর লোক এসে সন্ধ্যা ৭.৫০ মিনিটের দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে।প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুৎ এর শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে, পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।

মন্তব্য বন্ধ আছে তবে ট্র্যাকব্যাক ও পিংব্যাক চালু রয়েছে।